অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : স্থায়ী কমপ্লেক্সের মেলা জমে উঠতে শুরু করেছে; নতুন পণ্যের পসরা চান ক্রেতারা ঢিমেতালে শুরু হওয়া বাণিজ্য মেলা বেশ জমে উঠতে শুরু করেছে। কনকনে শীতের মাঝেও ভীড় বাড়তে শুরু করেছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায়। শুক্রবার দুপুরের পর থেকে মেলায় বাড়তে থাকে ক্রেতা সমাগম।
স্টলগুলোতে ছিল নারীদের ভিড় বেশি। বাণিজ্যমেলায় ঘুরে দেখা যায়, পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকেই এসেছেন মেলায় পছন্দের জিনিস কিনতে। মেলায় প্লাস্টিক পণ্য, অ্যালুমিনিয়ামের গৃহস্থালি ,ক্রোকারিজ, ইমিটেশনের গয়না, কসমেটিকসের স্টলগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেশি। আবার কাঠ ও প্লাইউডের আসবাব ও ইলেকট্রনিক পণ্যের স্টলগুলোও ছিল ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আগ্রহের কেন্দ্র।
বাণিজ্য মেলায় এবারে সবচেয়ে বেশি আর্কষণ হচ্ছে ইমিটেশনের গয়না, কসমেটিকস, শাড়ি, থ্রি-পিস ও জুতার স্টলগুলো। তবে পণ্যের দাম বেশি বলে খানিক অভিযোগের সুর ছিল অনেক ক্রেতাদের কন্ঠে। আবার বাণিজ্য মেলায় নতুন পণ্যের আয়োজন কম থাকারও অভিযোগ করলেন অনেক ক্রেতা। কিন্তু এতসবের পরেও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ছে বাণিজ্য মেলার প্রাঙ্গনে। স্থায়ী এ মেলা প্রাঙ্গনে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য করা হয়েছে বিশেষ আয়োজন। অনেক নারী উদ্যোক্তাদের স্টলে বিদেশী ক্রেতাদের ভিড় জমেছে বলেও জানান অনেক বিক্রেতা। এত কিছুর পরেও মেলার ব্যবস্থাপনা নিয়ে অভিযোগ অনেক স্টলমালিক ও কর্মচারীদের। তারা মেলাপ্রাঙ্গনে ঠিকমত যাতায়াত করতে পারছেন না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আবার বিভিন্ন বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে মেলার বেচাকেনা কেমন হবে তা নিয়েও শংকায় অনেক ব্যবসায়ী। এদিকে মেলায় পণ্যের দাম বেশি নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সচিব ইফতেখার আহমেদ জানালেন আশার কথা। মেলার দ্বিতীয়ার্ধে পণ্যের দাম কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে এই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। তবে এবারই প্রথম স্থায়ী মেলা কমপ্লেক্সে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে। প্রবেশ মূল্য বড়দের জন্য ৪০ ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা।
সাধারণ দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে কুড়িল থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিআরটিসি ডেডিকেটেড সার্ভিসের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বাণিজ্য মেলা পর্যন্ত ৩০টি স্পেশাল বাস চলবে। ভাড়া জনপ্রতি ৩০ টাকা। মতিঝিল ও মিরপুর থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিআরটিসি বাস চলবে। বাণিজ্য মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট ২৩টি প্যাভিলিয়ন, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৬২টি স্টল এবং ১৫টি ফুড স্টল দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা অন্য বছরের তুলনায় অর্ধেক। মেলায় মাত্র ১১টি প্রতিষ্ঠানের বিদেশি স্টল থাকবে। মেলা কমপ্লেক্সের বাইরে প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন এবং ফুড স্টল নির্মাণ করা হয়েছে।
Leave a Reply